FAQs
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে যত সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর আছে সবগুলো উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভর্তির আগে আপনার মনের সকল প্রশ্নের উত্তর এখানে পাবেন।
যশোর ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির আগে আপনার মনের সকল প্রশ্নের উত্তর আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি
প্রশ্ন: ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে কি রকম কম্পিউটার লাগবে?
উত্তর: যতদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করবেন, ততদিন আপনাকে অতি সাধারণ কাজ গুলো করতে হবে। এগুলো করতে অনেক বছরের পুরাতন কম্পিউটার হলেও সমস্যা নেই। সুতারাং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কম্পিউটারের কনফিগারেশন নিয়ে একদমই ভাবতে হবে না। মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পুরাতন কম্পিউটারের দোকান থেকে বা ফেসবুকে/bikroy.com থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড ডেক্সটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। ১০/১২ হাজার টাকায় পুরাতন ল্যাপটপ পাওয়া যায় । এগুলো দিয়েই অনেক ভালভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যাবে।
প্রশ্ন: স্মার্ট ফোন/মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে?
উত্তর হল : যাবে আবার যাবে না।
মোবাইল দিয়ে যা যা করা যাবে:
1. মোবাইল দিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স করে আপনি YouTube এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
2. ফাইভার/ফ্রীলান্সার/আপ ওয়ার্ক এপস দিয়ে একাউন্ট ম্যানেজম্যান্ট।
3. বায়ারের সাথে চ্যাটিং।
4. কাজ পাওয়া।
5. জমা দেয়া।
6. পেমেন্ট ট্রান্সফার করা।
7. কাজ শেখা অর্থাৎ মোবাইল দিয়ে আপনি আমাদের ক্লাসের ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো দেখতে পারবেন।
8. আমাদের অনলাইন লাইভ ক্লাসে সংযুক্ত হতে পারবেন। ক্লাস করতে পারবেন।
যা করা যাবে না :
প্রফেশনাল কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করাটা সম্ভব নয়, কখনো সম্ভব হলেও খুবই অসুবিধাজনক। যে কাজ আপনি কম্পিউটার দিয়ে ১ঘন্টায় করে ফেলতে পারবেন সেই কাজ মোবাইল দিয়ে করতে আপনার কমপক্ষে ৫ ঘন্টা সময় লাগবে। এবং অধিকাংশ প্রফেশনাল কাজ মোবাইল দিয়ে করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং করা সম্ভব।
তাহলে সমাধান কি?
এখন শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে আমাদের ভিডিও ক্লাসগুলো দেখুন, কাজ শিখতে থাকুন।
কিছু কাজ শিখার পর যখন আপনার কনফিডেন্স আসবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন তখন একটি পুরাতন ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কিনে ফেলুন।
মাত্র ১০ হাজার টাকার ভিতরে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ পাবেন। যেটা দিয়ে আপনি খুব ভালভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো করতে পারবেন। ফেসবুক, bikroy.com বা সরাসরি পুরাতন ল্যাপটপের দোকানে খোঁজ করুন, অথবা মাত্র ৫ হাজার টাকায় পুরাতন ডেক্সটপ কম্পিউটার পাবেন।
খুব মনযোগ দিয়ে কাজ করতে থাকুন। ইনশাল্লাহ মাত্র ২ মাসের ইনকাম দিয়ে আপনি ঝকঝকে ব্রান্ড নিউ ল্যাপটপ কিনতে পারবেন ।
শুভকামনা এবং দোয়া আপনার জন্য।
প্রশ্ন: ক্লাস ও সাপোর্ট কিভাবে হয়? কখন হয়?
উত্তর: অফলাইনে এবং অনলাইনে আমাদের ক্লাস হয়। সাপোর্ট শুধুমাত্র অনলাইনে দেওয়া হয়। সকল ক্লাস Kazi Asif (Top Rated Freelancer) করান। ক্লাস শুরু (বিকাল ৪ঃ০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ পর্যন্ত)।
প্রতিদিন ৩ ঘন্টা লাইভ সাপোর্ট ( রাত ৮ – রাত ১১ টা)।
সমস্ত রিসোর্স ও সফওয়্যার ফ্রি প্রোভাইড।
প্রশ্ন: মানি রিসিপ্ট কি দিবেন?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই মানি রিসিপ্ট দেওয়া হবে।
এবং আপনি যদি আমাদেরকে বিকাশ, রকেট, নগদ এ টাকা পাঠান তবে টাকা পাঠানোর পর মেসেজের স্ক্রীণশটটি ই আপনার মানি রিসিপ্ট হবে। তাই বিকাশ, রকেট, নগদ বা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পর স্ক্রীণশট বা ছবি সেইভ করে রাখবেন। তাছাড়া আপনার বিকাশ বা ব্যাংক স্টেটমেন্টে এটি স্থায়ীভাবে থাকবে। এটি দিয়ে আপনি যে কোন সময় ক্লেইম করতে পারবেন।
প্রশ্ন: এডমিশন নেওয়ার পর/টাকা পাঠানোর পর কিভাবে ক্লাসে জয়েন করব?
উত্তর: ওয়েবসাইটে উল্লেখিত বিকাশ, রকেট, নগদ বা ব্যাংকে পেমেন্ট করে ঐ স্ক্রীণশট বা ছবি সহ আমাদের এডমিশন ফরমটি ফিলাপ করতে হবে। ফিলাপ করার পর আপনি ইমেইল পাবেন। আপনি যদি অনলাইনে ক্লাস করতে চান তবে, এই মেইলে ক্লাস জয়েনিং লিংক এবং ও সকল নিয়ম বলা থাকবে। আপনি যদি আমাদের ইনস্টিটিউটে এসে ক্লাস করতে চান তবে বিকাল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত ক্লাস হবে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলে আসবেন। আপনারা ভর্তির সময় যেই ইমেইল ব্যবহার করেছিলেন এই ইমেইলে আমাদের ক্লাসের ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো দিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন: কোর্স ফি কত?
উত্তর: কোর্স ফি ৩৪,৫০০ মাত্র।
কেউ চাইলে ১২,৯০০ টাকা দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন কিন্তু সেক্ষেত্রে পরবর্তী মাস থেকে – প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা করে পে করতে হবে যতদিন 34,500 টাকা পূর্ণ না হয় ।
বিদ্র: একসাথে পেমেন্ট করলে ৩২ হাজার টাকা দিলে হবে । এর পর আর কখনো কোন পেমেন্ট করতে হবে না। তারপর যত বছর ইচ্ছা ক্লাস করা যাবে ও সাপোর্ট পাওয়া যাবে ।
হাফ এডমিশন ফি:
যদি টাকা কম থাকে তাহলে ৬,০০০ টাকা দিয়ে হাফ এডমিশন নিতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনি সবগুলো ক্লাসে ও সাপোর্ট এ সংযুক্ত হতে পারবেন না।
কিন্তু পরবর্তী যে কোন সময় বাকী ৬,৯০০ টাকা দেয়ার পর সবগুলো ক্লাসে ও সাপোর্টে জয়েন হতে পারবেন। এবং পরবর্তী মাস থেকে – প্রতি মাসে ২০০০ টাকা করে পে করতে হবে যতদিন 34,500 টাকা পূর্ণ না হয়।
এছাড়াও আমাদের আরো বিভিন্ন শর্ট কোর্স রয়েছে সেগুলোর ফি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন: কোর্স ফি কি কিছু কম রাখা যাবে?
উত্তর: কোনভাবেই কোর্স ফি কম রাখার সুযোগ নেই। আপনি চাইলে আমাদের শর্ট কোর্স গুলোর মধ্যে যেকোনো একটা করতে পারেন। আমরা মোট ১০০+ কাজ শেখায়। এতগুলো কাজ, একটা কোর্সের মধ্যে খুবই কম টাকায় আমার মত কেউ শেখাবে না। এবং আমরা যে সকল সুযোগ সুবধা দিয়ে থাকি তার মূল্য কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার বেশি হওয়া উচিত। আমাদের দৃষ্টিতে সুযোগ সুবিধার তুলনায় আমাদের কোর্স ফি একদমই কম।
প্রশ্ন: কোর্সের মেয়াদ কত দিন?
উত্তর: কোর্সের মেয়াদ (১০ দিন থেকে শুরু করে, ৬ মাস থেকে ১ বছর) মাস আর সাপোর্ট এর মেয়াদ আনলিমিটেড টাইম।
যতদিন আপনার মাসিক ইনকাম ৩০ হাজার টাকা+ না হচ্ছে ততদিন আপনি আমাদের ক্লাস করতে পারবেন ও সাপোর্ট নিতে পাবেন। কিন্তু একটানা ২ মাস ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ভর্তি বাতিল হবে, এবং কোন রিফান্ড দেওয়া হবে না।
প্রশ্ন: ফ্রিল্যান্সিং করতে ইংলিশ স্কিল কেমন লাগবে?
উত্তর: একদম বেসিক লেভেলের ইংলিশ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যাবে। তারপর আপনি যতই ফ্রিল্যান্সিং করতে থাকবেন ততই আপনার ইংলিশ ইমপ্রুভ হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করা মানে ২৪ ঘন্টায় ইংলিশ চর্চা করা। আর যত আপনার ইংলিশে উন্নতি করবেন তত আপনার ইনকাম বাড়তে থাকবে।
আমাদের অনেক স্টূডেন্ট আছে মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে কিন্তু অনেক ভালভাবে ফ্রিল্যান্সিং করছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি:
*খুবই কম বায়াররা আপনার সাথে ভিডিও চ্যাট, বা অডিও চ্যাট করবে। অধিকাংশ সময় বায়াররা টেক্সট চ্যাট করে। আপনি মাসে লাখ টাকার কাজ করলেও বায়ারদের সাথে হোয়াটস এপে বা ভিডিও কলে কথা বলার তেমন প্রয়োজন হবে না। কারণ বায়াররা জানে যে ইংলিশ আপনার মাতৃভাষা না। আপনি ইংলিশে কাঁচা হবেন এটাই স্বাভাবিক।
*বায়াররা যখন আমাদের সাথে ইংলিশে লিখে লিখে চ্যাট করে তখন খুব সহজ শব্দ ব্যবহার করে যেন আমরা বুঝতে পারি । যার ফলে বায়ারের লেখা পড়ে বুঝার জন্য বেসিক লেভেলের ইংলিশই যথেষ্ট ।
*ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার রাইটিং স্কীল মোটামোটি ভাল হতে হবে। আপনার লেখা যদি বায়ার বুঝতে না পারে তাহলে প্রবলেম। এখন আপনি যদি ইন্টারনেটের টুলসগুলো ব্যবহার করে লিখেন তাহলে আপনার কোন বানান ভুল হবে না, গ্রামার ভুল হবে না, যে কোন বাংলা শব্দের ইংলিশ এবং যে কোন ইংরেজী শব্দের বাংলা মুহুর্তেই আপনি সার্চ করে বের করতে পারবেন। এবং কোন একটা সেনটেন্স লিখার পর সেটা সঠিক হয়েছে কিনা সেটাও সাথে সাথে যাচাই করতে পারবেন। যার ফলে ইন্টারনেটের হেল্প নিয়ে নির্ভুলভাবে ইংলিশ লিখা যায়।
আরেকটি কথা হল বায়ার আপনার সাথে শুধু কাজ সংক্রান্ত কথা বলবে। মনে করুন বায়ার আপনার সাথে ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে কথা বলছে তাহলে তার সকল কথা ফেসবুক মার্কেটিং সংক্রন্ত ২০/৩০ টি শব্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এখন এই ২০/৩০ শব্দের অর্থ আপনি জানলেই তার সাথে সারাদিন কথা বলতে পারবেন। আপনি যখন ফেসবুক মার্কেটিং কাজটা শিখবেন তখন ঐ কাজের মধ্যেই এই ২০/৩০ টা টেকনিক্যাল শব্দের অর্থ জানবেন এবং বুঝবেন। তাই আপনাকে ভোকাবুলারি ইমপ্রুভ করার জন্য ডিকশনারী মুখস্ত করার দরকার নাই। শুধু খুব ভালভাবে কাজটা শিখলেই সেই কাজের সকল টেকনিক্যাল ওয়ার্ড এর শব্দার্থ আপনার মুখস্ত হয়ে যাবে।
তাই ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আলাদাভাবে কোন ইংলিশ কোচিং করতে হবে না। আমাদের কোর্স এর মধ্যেই প্রথমে স্টেপ বাই স্টেপ ইংলিশ শিখানো হয়।
প্রশ্ন: ইনকাম শুরু হতে কতদিন সময় লাগবে?
উত্তর: পরিপূর্ণ শেখা এবং প্র্যাকটিস করার জন্য প্রতিদিন ১০ ঘন্টা সময় দিলে + পরিপূর্ণ শেখা এবং প্র্যাকটিস হয়ে গেলে, নিশ্চিতভাবে তৃতীয় মাস থেকে ইনকাম শুরু হবে, এবং ৭ ঘন্টা সময় দিলে ইনকাম শুরু হতে চতুর্থ-পঞ্চম মাস লাগবে।
আগে শিখতে হবে, তারপর টাকা ইনকাম এর চিন্তা করতে হবে + কাজে এপ্লাই করতে হবে।